দ্বীনদার মেয়ে কিনা বোঝার জন্য সবচাইতে সহজ পদ্ধতি হল:
সেই মেয়ের যে লাইফ স্টাইল সেটা সম্পর্কে একান্তে জানার চেষ্টা করা। অন্য কোন মেয়ের মাধ্যমে অথবা কোন বিশ্বস্ত লোকের মাধ্যমে যে সে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে কিনা, পর্দা করে কিনা, হালাল হারাম মেইনটেইনন করে কিনা, সে মুত্তাকী এবং পরহেজগারীতার সাথে থাকতে পছন্দ করে কিনা, সেই মেয়ের কাদের সাথে চলাফেরা করে তার বন্ধু কারা।
এগুলো একান্তে বিশ্বস্ত লোক দিয়ে যদি আপনি জানার চেষ্টা করেন তাহলে ইনশাল্লাহ সেটা ভালো নিরাপদ হবে। একই সাথে যার মাধ্যমে মেয়েটির দ্বীনদারিতার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন সে কি দ্বীনদার কিনা তাও নিশ্চিত থাকা দরকার।
শুধুমাত্র বাহ্যিকভাবে পাত্রীকে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলেন বা দু চারটে বিষয় দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন এর মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে দ্বীনদার মেয়েকে বাছাই করা অনুচিত।
দ্বীনদার মেয়ের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। দুই নম্বর বৈশিষ্ট্য হলো তিনি পর্দা মেইনটেইন করবেন এবং পরিপূর্ণভাবে মাহরাম মেইনটেইন করবেন যাদের সাথে পর্দা করা ফরজ তাদের সাথে পর্দা করেন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তৃতীয়তঃ তিনি(she) সব ক্ষেত্রে হালাল হারাম হারাম বেছে চলেন কিনা।
চতুর্থতঃ তিনি(she) অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকেন কিনা বা যা হয় আল্লাহর ফয়সালাকে মেনে নেয়ার মানসিকতা আছে কিনা।
পঞ্চম এবং সর্বশেষ বৈশিষ্ট্য হলো সার্বিকভাবে তিনি(she) আল্লাহ তায়ালার কাছে নিজেকে(herself) আত্মসমর্পণ করে চলেন কিনা। এই বিষয়গুলি আপনি নিরূপণ করলেই বিয়ের ক্ষেত্রে পাত্রীর দ্বীনদারীর পরিমাণ বা মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।