দোয়া কবুলের আমল ও লক্ষণ




দোয়া কবুল হয়েছে এরকম নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ বা উপায় কোরআন এবং হাদিস থেকে জানা যায় না। তবে এ সম্পর্কে মুসনাদে আহমদে বর্ণিত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ হতে বর্ণিত আছে যে, কোন মুসলমান যদি আল্লাহর কাছে দোয়া নিবেদন করে এর প্রধান শর্ত হলো হালাল উপার্জন। 


সেটি যদি ঠিক থাকে এবং সে যদি কোন অন্যায় কাজের জন্য দোয়া না করে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য দোয়া না করে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার দোয়া অবশ্যই কবুল করেন। 


এখানে আল্লাহ তাআলার দোয়া কবুলের তিনটি প্রক্রিয়া আছে। 


১. সে যা চাইবে আল্লাহতালা তাকে তাই দিবেন হয়তোবা একটু আগে বা পরে। 


২. সে ব্যক্তি যা চেয়েছিল আল্লাহ তায়ালা তাকে তা দেননি বরং কিয়ামতের দিন তাকে এমন পুরস্কার দিবেন যা এর চাইতে অনেক বেশি বড়। 


৩. আল্লাহ তাকে তার দোয়ায় চাওয়া জিনিস দেননি বরং তাকে এমন কোন মুসিবত থেকে হেফাজত করেছেন যা সে দোয়ায় উল্লেখ করেনি। 


অর্থাৎ ঈমানদারের দোয়া বিফলে যায় না, যদি সে শর্ত পূরণ করে দোয়া করতে পারে। অতএব কোন না কোন ভাবে দোয়া কবুল হয় এটা নিশ্চিত। তারপরও বিভিন্ন উলামায়ে কেরাম, আলেমগণ তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেছেন যে, দোয়ার পরে যদি এমন মানসিক পরিস্থিতি হয় তাহলে দোয়াটি কবুল হয়েছে এমন সুধারণা করা যায়। 


যদি কারো দোয়ার সময় কান্না আসে, যদি কারো অন্তরটা বিগলিত হয়ে যায়, দোয়ার পর কারো যদি মানসিক প্রশান্তি অনুভব হয়, মনের ভিতর খুশি খুশি একটা ভাব আসে, হালকা হয়ে যাওয়ার একটা ভাব আসে তাহলে সেই ক্ষেত্রে দোয়াটা আল্লাহর কাছে কবুল হয়েছে এমন সুধারণা করতে পারে। এমনটাই বলেছেন বিভিন্ন আলেমগণ। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url