আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া দুই ভাবে আদায় করা যায় মুখে বলে ও কাজ দিয়ে বুঝিয়ে। মুখ দিয়ে আমরা বলব আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে সেই শুকরিয়া জ্ঞাপনক বাক্য শিখিয়েছেন, যেকোনো বড় অনুগ্রহ আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত হলে তার বিনিময়ে শুধু আলহামদুলিল্লাহ বললে সেই নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় হয়ে যাবে।
আপনাকে যতই নেয়ামত দেয়া হোক না কেন শুধুমাত্র একবার আলহামদুলিল্লাহ বললে সেই সমস্ত নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় হয়ে যাবে। আলহামদুলিল্লাহর মধ্যে এতটা বিশেষত্ব রয়েছে, আল্লাহ কুরআন নাযিল করেছেন এবং তিনি বলেছেন আমি কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি যাতে তোমরা তা সহজে বুঝতে পারো এবং হেদায়েত গ্রহণ করো।
কুরআন হলো আমাদের জন্য আল্লাহর নিকট থেকে একটি বড় অনুগ্রহ। কোরআন আমাদেরকে পথনির্দেশনা দিচ্ছে আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দিয়েছেন। এজন্য আল্লাহ বলছেন তোমরা আমার নিকট শুকরিয়া আদায় করো, যে আমি তোমাদের হেদায়েতের রাস্তা বা পথ সুগম করে দিয়েছি।
সুরা ইউনুসের ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন, কোন ব্যক্তিকে যখন জান্নাত দিয়ে দেয়া হবে জান্নাতুল ফেরদৌস পাওয়া ব্যক্তিও কিভাবে আল্লাহর এই অনুগ্রহের শুকরিয়া আদায় করবে। আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামত প্রাপ্ত হওয়ার পরও তারা কিভাবে এর শুকরিয়া আদায় করবে।
সেখানে আল্লাহ তায়ালা বলছেন, তাদের বলার মত কিছু থাকবে না। সেইদিন তারা শুধু এতটুকুই বলবে "বিশ্বজগতের প্রতিপালকের প্রশংসা জ্ঞাপন করছি" আল্লাহ বলছেন এটা বললেই যথেষ্ট হয়ে যাবে। পুরো জান্নাত আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে, আল্লাহ শুধু এর জন্য আলহামদুলিল্লাহ শুনতে চান।
অতএব আল্লাহর নিকট থেকে যে কোন নেয়ামত পেলে আমাদেরকে "আলহামদুলিল্লাহ" বলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে হবে।