জুমার দিনের আমল



রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অর্থাৎ জুমার রাতে আদম সন্তানের সকল আমল (আল্লাহর সামনে) পেশ করা। তবে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারীদের আমল কবুল করা হয় না।  মুসনাদে আহমদ, হাদিস ১০২৭২

তেমন কি জান্নাতবাসীদের জন্য ও জান্নাতে এ জুমার দিনটি মহান আনন্দ বিশেষ রাখতে দিন প্রাপ্তির দিন হবে। জান্নাতের প্রতি জুমার দিন সকল জান্নাতিগন আনন্দ বিনোদনে একটি বিশেষ জায়গায় একত্রিত হবেন। 

তাই ফেরেশতাগণ জুমার দিনকে 'ইয়াওমুল মাজীদ' তথা অনন্য প্রাপ্তি দিবস নামে অভিহিত করেন। তাই এই পবিত্র জুমার দিনে যে পাঁচটি আমল মানুষকে জান্নাতে পৌঁছে দেয়। 



১. সূরা কাহাফ তেলাওয়াত করা 


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি জুমার দিনের সূরা কাহাফ পাঠ করবে। তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূরে আলোকোময় হয়ে উঠবে। এমনকি বিচার দিবসের দিন তা আরো আলোকিত করে তুলবে এবং বিগত জুমা থেকে এই জুমা পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (আত তারগীব ওয়া তারহীব:১/২৯৮) 

আপনি যদি সম্পূর্ণ সূরা কাহাফ পাঠ করতে না পারেন তাহলে নূন্যতম দশ আয়াত পাঠ করুন। রাসূল সাঃ বলেন যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্ত করবেন ও পাঠ করবেন সেই ব্যাক্তি সমস্ত বিপদ আপদ থেকে মুক্ত থাকবে। 


২. জুমার দিনে রাসুল সাঃ এর উপর দুরুদ শরীফ পাঠ করা। 


শুক্রবারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নফল আমল হল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি দরুদ পাঠ করা। 

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন শুক্রবার আসলে তোমরা আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করবে, কেননা তোমরা যে দরুদ পাঠ করো তা বৃথা যায় না। ফেরেশতাগণ তা আমার নিকট উপস্থাপন করেন কে পাঠ করেছে কোত্থেকে পাঠ করেছে। 

এছাড়াও অন্যান্য হাদিস থেকে এটা জানা যায় যে নবীর শাফায়াত পেতে। জান্নাতে পাশাপাশি থাকতে হলে নবীর প্রতি বেশি বেশি দরুদ পড়তে হবে। 


৩. গোসল করে পবিত্র হয়ে মসজিদের উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে রওনা হওয়া


যে ব্যক্তি জুমার দিনে ভালোভাবে গোসল করে পবিত্র হয়ে এবং সকাল সকাল জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এবং কোন বাহনে আরোহন না করে পায়ে হেঁটে আগে আগে মসজিদে যায়।

ইমামের নিকট গিয়ে বসে চুপচাপ ইমামের খুতবা শুনে, মসজিদে কোন অযথা কথা না বলে। তাহলে তার প্রতি কদমে এক বছরের নফল রোজা ও নামাজের সোয়াব দেয়া হয়। সহি হাদীছ আবু দাউদ: ৩৪৫।


৪. জুমার দিনের গুরুত্ব সহকারে জুমার ফরজ নামাজ আদায় করা


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন এক জুমা থেকে আরেক জুম্মা মধ্যবর্তী সময়ের জুমার নামাজ সকল সগিরা গুনাহের জন্য কাফফারা। যদি কবিরা গুনাহ না করা হয় ঐ ব্যক্তির বিগত এক সপ্তাহের সগিরা গুনাহ মাফ হয়। কেননা কবিরা গুনাহ মাফের জন্য তওবা জরুরি। সহি মুসলিম, হাদিস: ২৩৩ 


৫. জুমার দিনে আপন জনের কবর জিয়ারত করা 


জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত রয়েছে যদি কোন মুসলিম এই সময় আল্লাহর কাছে কিছুপ্রার্থনা করে, তাহলে সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা তাই তাকে দান করেন। 

সহি মুসলিম ও আবু দাউদ শরীফে ১০৪৮ নম্বর হাদিসে বর্ণিত,  রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন, এই মুহূর্তটি তোমরা আসরের শেষ সময় অনুসন্ধান করো। 



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url