আজান - কুরআন ও হাদিসের আলোকে আজান দেওয়ার ৮টি ফজিলত পাওয়া যায়

 



১. কিয়ামতের দিন আজান দেয়া ব্যক্তি সম্মানিত হবেন। যিনি আজান দিবেন কিয়ামতের দিন মানুষ ও পৃথিবীর সকল বস্তু ওই ব্যক্তির কল্যাণের জন্য সাক্ষ্য দিবে সুবাহানাল্লাহ। 


২. আজান যে ব্যক্তি দিবে কেয়ামতের মাঠে তার গলা সবচাইতে উঁচু থাকবে। উঁচু থাকার দুইটা ব্যাখা, হয়তো রহমত প্রাপ্তির আশায় গলা উঁচু থাকবে অথবা সে নেতা হবে।


৩. যারা আজান শুনবে তারা সকলেই তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে সুবাহানাল্লাহ কত বড় ফজিলত। 


৪. যারা আজান শুনে মসজিদে আসে তাদের সমপরিমাণ সওয়াব যে ব্যক্তি আজান দিবে অর্থাৎ মুয়াজ্জিন সকলের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। 


আজান শুনে যত লোক সালাত আদায় করবে তাদের সমপরিমাণ সওয়াব যেই ব্যক্তি আজান দিবে অর্থাৎ মুয়াজ্জিনকে সেই পরিমাণ সওয়াব দান করা হবে। 


৫. দুই আজানের মধ্যখানে আজান দেওয়া ব্যক্তি বা মোয়াজ্জিন যত সগিরা গুনাহ করে তার সকল গুনাহ মাফ করে দেন আল্লাহ।


৬. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, মুয়াজ্জিন যদি ১২ বছর আজান দেয় তার জন্য জান্নাত আবশ্যক করে দেয়া হয়। 


৭. যে ব্যক্তি আজান দেন, আজান দেয়ার ফলে তাকে ৬০ নেকি দেয়া হয়  এবং ইকামত দিলে তাকে ৩০ নেকি দেয়া হয়।


৮. নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে যে ব্যক্তি আজান দিবে তার জন্য দোয়া করেছেন, হে আল্লাহ আপনি ইমামদেরকে হেদায়েত দেখান এবং মুয়াজ্জিনদের কে মাফ করে দিন।


এত বড় ফজিলত শুনে যদি আমরা আজান না দেই তাহলে আমরা এর নেকি ও ফজিলত থেকে বঞ্চিত হব। তাই আসুন আমরা সকলে যার যার সাধ্য মতো মসজিদে আজান দেই এবং আজানের ফজিলত প্রাপ্ত হই।